বিনোদন

নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার নিয়ে বিতর্ক

অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁকে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তার পরবর্তী আদালতে উপস্থাপন করা হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তিনি আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা ছিলেন এবং ২০৭ নম্বর আসামি হিসেবে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত। মামলায় মোট ২৮৩ জনের নাম রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

তবে নুসরাত ফারিয়ার আইনজীবীর দাবি, মামলার ঘটনার দিন তিনি দেশে ছিলেন না, বরং কানাডায় অবস্থান করছিলেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে ‘ফ্যাসিস্টের সহযোগী’ বললেও, সুনির্দিষ্ট কোনো অপরাধ বা প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করেনি।

এই গ্রেপ্তার নিয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “এটি বিব্রতকর ঘটনা” এবং সরকারকে ঢালাও মামলা বন্ধ করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের দিকে মনোযোগী হতে হবে।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নুসরাত ফারিয়া দোষী না নির্দোষ—তা বলা যাবে না, তাই তাঁকে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নুসরাত ফারিয়া ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সেই অভিনয়কে কেন্দ্র করেই তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দেওয়া হয়েছে কি না, তা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে।

এই ঘটনা নতুন করে ঢালাও মামলার গ্রহণযোগ্যতা, আইনগত বৈধতা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছে, যা দেশের বিচারব্যবস্থা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

Show More

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button