
দেশজুড়ে চলছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। গরমের দাপটে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই পরিস্থিতিতে স্বস্তি পেতে অনেকেই ভরসা করছেন প্রাকৃতিক পানীয় ফল—বিশেষ করে ডাবের পানি। এর প্রভাবে বেড়েছে ডাবের চাহিদা ও দাম।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কৃষি মার্কেট, কারওয়ান বাজার ও বিমানবন্দর এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় আকৃতির একেকটি ডাব ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের ডাবের দাম ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, আর ছোট ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। দরদাম করলে কোথাও কোথাও ১০-২০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে।
পাইকারিতে বাড়তি দাম, ভোক্তাদের অভিযোগ
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে প্রতি ১০০টি ডাবের দাম ৮–১০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে এখন হয়েছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। ফলে বাধ্য হয়ে খুচরায়ও দাম বাড়াতে হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ডাব বিক্রেতা জুলহাস আলম বলেন, “আগে প্রতি ১০০টি ডাব কিনেছি ৮–১০ হাজার টাকায়। এখন দাম বেড়ে গেছে, তাই ১৫০–১৬০ টাকা দামে বিক্রি করছি।” কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা মিনু মণ্ডল বলেন, “এখন প্রতিদিন ২০০–২৫০টি ডাব বিক্রি করছি, গরমে চাহিদা বেশি।”
হজ মৌসুমে বাড়তি চাহিদা
বিমানবন্দর এলাকার হাজি ক্যাম্পে বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। হজযাত্রীদের আনাগোনায় ওই এলাকায় ডাবের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। বিক্রেতা আবদুর রহিম বলেন, “গরম ও হজ মৌসুমে প্রতিদিন ২৫০–৩০০টি ডাব বিক্রি করছি।”
ডাবের সঙ্গে তালশাঁসও জনপ্রিয়
শুধু ডাব নয়, গরমের এই সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কচি তাল ও তালশাঁসও। প্রতিটি কচি তাল বিক্রি হচ্ছে ৩০–৪০ টাকায়। একটি তালে সাধারণত ৩–৪টি শাঁস পাওয়া যায়। কোথাও কোথাও প্রতিটি তালশাঁস বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এলাকার বিক্রেতা মোহাম্মদ এনামুল জানান, “প্রতিদিন ৩০০–৪০০টি কচি তাল বিক্রি করছি। চাহিদা অনেক বেড়েছে।”
গরমে অন্যান্য ফলের দামও চড়া
কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, মৌসুমের শুরুতে লিচু, জাম, কাঁঠাল, আম ও আনারস বাজারে এসেছে। তবে এখনো এসব ফলের দাম তুলনামূলক বেশি। ফলে অনেকেই সাময়িকভাবে ডাব ও তালশাঁসের দিকেই ঝুঁকছেন।








Need some solid odds info? Keonhacaifb88 is where I’m heading. Hope they got the goods! keonhacaifb88