
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নগর ভবনের আশপাশের এলাকা। ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে ইশরাক সমর্থকরা কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। মূল ভবনের গেটে তালা দেওয়া থেকে শুরু করে কনসার্ট আয়োজন—সব মিলিয়ে ঢাকার জনজীবনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের সেবা কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে। এই আন্দোলনের কারণে বঙ্গবাজার থেকে গোলাপ শাহ মাজার পর্যন্ত রাস্তায় যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। অবরোধের পাশাপাশি আন্দোলনকারীরা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগও দাবি করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ইঙ্গিত দিয়েছেন, দলটি প্রয়োজনে দলীয়ভাবে আন্দোলনে যোগ দেবে। তার ভাষায়, “সরকার যদি টনক না তোলে, তাহলে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করতেই হবে।” যদিও এখনো আন্দোলনে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পৃক্ত হয়নি, তবে বিভিন্ন নেতা সমর্থন জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, “আইনগত জটিলতা এবং বিচারাধীন বিষয় থাকায় এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় আছি।”
ইতোমধ্যে একটি নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ২৭ মার্চ ইশরাককে বৈধ মেয়র ঘোষণা করে আগের নির্বাচনের ফল বাতিল করে। নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করলেও এখন পর্যন্ত শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। পরবর্তীতে একটি লিগ্যাল নোটিশ ও হাইকোর্টে রিটের কারণে আইনি প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি জাতীয় পর্যায়ে একটি রাজনৈতিক ইস্যু গড়ে তুলতে চাইছে। তবে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান বলেছেন, “শুধু আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে শপথ আদায় করা কঠিন হবে। এতে জনদুর্ভোগ বাড়ছে।”
এদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নও ইশরাকপন্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে শপথের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না এলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
এখন প্রশ্ন উঠছে—বিএনপি কি এই আন্দোলনকে পূর্ণদমে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে সরকারবিরোধী বৃহত্তর আন্দোলনের পথে এগোচ্ছে? সময়ই হয়তো দেবে এর সঠিক উত্তর।









Futebol Fever BR? For real? This site’s got me hooked for my football fix! Solid choice for game viewing futebolfeverbr.